নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ১৭ জুন, ২০২১
গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. হারুনুর রশিদ বলেন, সাধারণত মানবদেহে ট্রায়েল সম্পন্ন হলে চার মাসের মত সময় লাগে। মানবদেহে ট্রায়েল সফল হলে চার মাসের মধ্যে আমরা বঙ্গভ্যাক্স টিকার বাণিজ্যিক উৎপাদনে যেতে পারবো এবং বাজারে এই ভ্যাকসিন আনতে পারবো।
গ্লোব বায়োটেকের টিকা বঙ্গভ্যাক্সের মানবদেহে ট্রায়েল, উৎপাদন এবং টিকার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেন। পাঠকদের জন্য মো. হারুনুর রশিদ এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর প্রধান বার্তা সম্পাদক মো. মাহমুদুল হাসান।
মো. হারুনুর রশিদ বলেন, এখনাে আমরা বঙ্গভ্যাক্স টিকার মানবদেহে ট্রায়েলের যে নীতিগত অনুমোদন সে সংক্রান্ত চিঠি পাই নি। আমাদের কিভাবে তারা অনুমোদন দিয়েছে দেখার পরে আমরা এই বিষয়ে বলতে পারবো। তবে আমাদের যে মানবদেহে ট্রায়েলের অনুমোদন দিয়েছে এর জন্য আমরা সরকারকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। গ্লোব বায়োটেকের এই বঙ্গভ্যাক্স টিকা অলরেডি সারা বিশ্বে পরিচিতি পেয়ে গেছে। বাংলাদেশও যে ভ্যাকসিন বানাতে পারে এটি প্রমাণ হয়ে গেছে। আরো ভালোভাবে কাজ করলে আমরা এটি প্রোপারলি করতে পারবো এবং সরকার এ ব্যাপারে আমাদের সহযোগীতা করছেন এ জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। আমার থেকেও আন্তরিক ধন্যবাদ এবং শুভকামনা করছি।
তিনি বলেন, চিঠিটা পেলে আগে আমাদের সব কিছু দেখতে হবে তারপর আমরা বুঝতে পারবো যে কতদিনের মধ্যে আমরা মানবদেহে ট্রায়েলে যেতে পারবো। সাধারণত মানবদেহে ট্রায়েল সম্পন্ন হলে চার মাসের মত লাগে। মানবদেহে ট্রায়েল সফল হলে চার মাসের মধ্যে আমরা বঙ্গভ্যাক্স টিকার বাণিজ্যিক উৎপাদনে যেতে পারবো এবং বাজারে এই ভ্যাকসিন আনতে পারবো।
তিনি বলেন, মানবদেহে ট্রায়েলের জন্য দ্বিতীয় ধাপে প্রায় ১০০ জনের শরীরে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে। এরপর তৃতীয় ধাপে গিয়ে আরও প্রায় ৩০০ মানুষের শরীরে এই ভ্যাকসিনের প্রয়োগ করা হবে। এরপর আমরা যদি মানবদেহে প্রয়োগের পরে সফল হয় তাহলে আমরা সরকারের কাছে সমস্ত কাগজপত্র জমা দিব এবং তারা এগুলো যাচাই বাছাই করে আবার একটি অনুমোদন দিবে। এরপরই আমরা এই ভ্যাকসিনের চূড়ান্তভাবে উৎপাদনের জন্য অনুমোদন পাবো এবং বাজারে ছাড়তে পারবো। মানবদেহে ট্রায়েলের পর আমাদের সরকারের রেজিষ্ট্রেশন পেতে হবে। এরপরই আমরা পরবর্তী ধাপে যেতে পাবরো।
তিনি বলেন, আমাদের এই ভ্যাকসিন দেশে উৎপাদন হবে এবং আমারা দেশের মানুষের জন্য এটি বাজারে দিব এবং এটি এক্সপোর্টেবল। ফলে আমরা এক্সপোর্টও করতে পারবো। তিনি বলেন, মানবদেহে ট্রায়েলে দুটি ধাপ যাওয়ার পরে বোঝা যাবে এই টিকার কোনো সাইডইভেক্ট আছে কিনা। ট্রায়েল সম্পন্ন হবে আমেরিকা, জার্মানি থেকে লোক আসবে এটি দেখার জন্য। এখন দেখা যাক কি হয়।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেছেন, এপ্রিল মাসে তীব্র তাপদাহ যাচ্ছে। এটা একটু কষ্টদায়ক বটে। তবে মে মাসেও তো আবহাওয়া এমন থাকবে এবং সে সময় প্রচন্ড গরম থাকবে। কিন্তু তাই বলে তো আর স্কুল, কলেজ বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এত লম্বা সময় ধরে বন্ধ রাখা যায় না।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।